দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পা হারিয়েছেন ফিলিস্তিনি চিকিৎসক খালেদ আল-সাঈদি। তবে দুঃখজনক এই অভিজ্ঞতা তাকে পিছু হটাতে পারেনি। কৃত্রিম পা নিয়ে তিনি আবারও চিকিৎসা সেবায় ফিরে এসেছেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খালেদ বলেন, "আমি গত ২৩ বছর ধরে গাজার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে শিশু বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছি। একদিন আমার বাড়ির কাছে চালানো ইসরায়েলি হামলায় আমি আহত হই। পূর্বে ডায়াবেটিসের কারণে আমার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ ছিল এবং ওই ক্ষতস্থান এতটা মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছায় যে, আমাকে পা কেটে ফেলতে হয়।"
ছয় মাস পর, পা কেটে ফেলার অভিজ্ঞতা কাটিয়ে তিনি আবারও শিশু বিভাগের জরুরি বিভাগে ফিরেছেন। খালেদ বলেন, "চিকিৎসা সেবায় ফিরতে পারা আমার জন্য এক বড় অর্জন। যদিও আগের মতো শক্তি নিয়ে কাজ করতে পারি না, তবে এখনও সেবা প্রদান করতে পারা আমার জন্য একটি নতুন শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
এদিকে, গত ১৫ মাস ধরে গাজায় চালানো ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখেরও বেশি আহত হয়েছেন। এসব হামলার পরও ইসরায়েলি বাহিনী তাদের বর্বরতা বন্ধ করেনি।
গাজার এই সংকটময় পরিস্থিতিতে, হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। শুক্রবার কাতারের দোহায় উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন, তবে চুক্তি হওয়া নিয়ে এখনও কোনো স্পষ্ট সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। হামাসের এক কর্মকর্তা আশাবাদী যে, এবার তারা একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হবেন।
সূত্র: আলজাজিরা